About

সনাতন ধর্মতত্ত্ব

Bio: সকল সম্প্রদায়ের ধর্মের একটা বিশেষ নাম আছে,যেমন- বৌদ্ধধৰ্ম, ইহুদীধৰ্ম, খ্রীষ্টীয়ধৰ্ম, জারূথস্ত ধর্ম, ইসলাম ধৰ্ম। কিন্তু আমাদের ধর্মের বিশেষ নাম নেই- এটা কেবল ধৰ্ম ; সময় সময় একে আদর্শ-অর্থাৎ উদারধৰ্ম, মহান্ ধর্ম বলা হয়; 'অথবা সনাতন ধর্ম অর্থাৎ চিরাচরিত ধৰ্ম, পুরুষ পরম্পরাগত ধৰ্ম (এষ ধৰ্ম্ম সনাতনঃ), এই ভাব হতে সনাতন ধর্ম নাম দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণগণ এই ধর্ম শিক্ষা দিয়েছেন বলেই কেউ কেউ একে ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম নাম দিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে এই ধর্মের নাম ধর্ম; অগ্রগামী শব্দটি কেবল বৈশিষ্ট্যবাচক। হিন্দুধৰ্ম শব্দ নিতান্ত অর্বাচীন; প্রাচীন গ্রন্থের কোন স্থানেই হিন্দু কথা পাওয়া যায় না; অর্বাচীন ‘মেরুতন্ত্রে’ ‘হিন্দু’ কথার উল্লেখ দেখা গেছে। পারসীক সংস্পর্শে হিন্দু কথার উৎপত্তি; সিন্ধুর অপভ্রংশ হিন্দু। তা হতে হিন্দস্থান বা হিন্দুধর্ম বা হিন্দ্‌রী কথার উৎপত্তি। ‘ধর্ম কথার ব্যুৎপত্তি দেখতে গেলে যা ধরে রাখে তাই যে ধর্ম, কেবল এই অর্থই পাওয়া যায়। সত্যকথা বলতে কি মানুষকে যা ধরে রাখে মনুষ্যত্ব হতে ভ্রষ্ট হতে দেয় না-মানুষই করে, সেটাই ধর্ম। লবণের যদি লবণত্ব না থাকে, তাকে আর যেমন লবণ বলা যায় না।তেমনি মানুষের যদি মনুষ্যত্ব না থাকে, তাহলে আর মানুষ নামে পরিচয় পেতে পারে না। মানুষের মনুষ্যত্ব সম্পাদক গুণ তার ধর্ম এই মনুষত্বের প্রেবণা যা হতে হয়, সেই বিধির প্রবর্ত্তন অনুসারে কাজ করা কর্তব্য কর্মের অনুষ্ঠান এবং নিষিদ্ধ কর্মের পড়িবর্জিত করা, আর যে আধ্যাত্মিক বলের সাহায্যে সেই কাজটি অনুষ্ঠিত হয় সেই লক্ষণে আক্রান্ত বিষয়টি ধৰ্ম। মানুষে ও পশুতে বিশেষ পার্থকা নেই-কেবল এক ধর্মই এই পার্থক এনেছে; ধর্মহীন মানুষ পশুর ও অধম। মানুষের বৈশিষ্ট্য তার স্বাধীন সত্তায় ও জ্ঞানে। কৰ্ম ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল প্রকার দুঃখ দূর করে পরমানন্দ প্রাপ্তিই ধর্মের চরমফল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

View complete profile

 

Leave a comment